সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যারা করে থাকেন তারা অবশ্যই কী-ওয়ার্ড এই শব্দটা শুনেছেন । সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হলে প্রথমে আপনাকে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে । আপনি যদি কিওয়ার্ড রিসার্চ না করেন তবে আপনার গুগলের রেংকিং পাওয়াটা খুবই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে ।
ইন্টারনেটের জগতে গুগল এক বিশাল পরিবর্তন করেছে । আর এই বিশাল পরিবর্তন করার জন্য মূল যে কাজ করে থাকে তা হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও । গুগল ক'দিন পরপর তাদের অ্যালগরিদম পরিবর্তন করে থাকে । এতে করে যারা এসইও করে তাদের প্রতিনিয়ত হিমশিম খাওয়া লাগে। মার্কেটপ্লেসে থাকাটা খুবই কষ্টকর হয়ে যায়।
কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে এতদিন ধরে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর সবগুলো নিয়ম কানুন পরিবর্তন হয়ে গেলেও কিওয়ার্ড রিসার্চ নিয়মটি এখনো পরিবর্তন হয়নি।
তবে এখানে একটি কথা বলতে হবে যে, কিওয়ার্ড রিসার্চ এর নিয়ম টি আগের মত থাকলেও , কী ওয়ার্ড এর ধরন কিন্তু বিশাল পরিবর্তন ঘটেছে । আজ থেকে চার-পাঁচ বছর আগে খুব সাধারন একটি কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করা যেত খুব সহজভাবে , তবে এখনকার দিনে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করাটা অনেকটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুব সহজ একটি কি- ওয়ার্ড দিয়ে আপনি এসইও করলেও কিওয়ার্ড রেংক পাওয়াটা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
এবার চলুন জেনে নেয়া যাক **কিওয়ার্ড কি**
গুগল সার্চ ইঞ্জিনের কোন কিছু জানতে চেয়ে যখন আমরা কোন কিছু সার্চ করি তখন যে শব্দগুলো ব্যবহার করি সেটা হচ্ছে কিওয়ার্ড ।
একটি উদাহরণ দেখা যাক যেমন আপনি চুলের যত্ন কিভাবে করতে হয় সেটা জানতে চান , চুলের যত্ন সম্পর্কে আপনার তেমন ধারনা বিন্দুমাত্র নেই । এখন আপনি গুগল এ সার্চ করলেন চুলের যত্ন কিভাবে করতে হয় । এই যে আপনি কোন কিছু জানতে চেয়ে কোন কিছু লিখে গুগলে সার্চ করলেন সেটা হচ্ছে কিওয়ার্ড । আপনার জানতে চাওয়া প্রত্যেকটা শব্দ হচ্ছে এক একটি কী ওয়ার্ড ।
এছাড়া কি-ওয়ার্ড দুই ধরনের আছে যেমন : সকল ধরনের কি ওয়ার্ড নিয়ে আপনার একটি সাইট গঠন করা । এবং যেসকল কিওয়ার্ড কে আপনি এসইও করার জন্য বাছাই করে রেখেছেন । এর মধ্যে একটু বিস্তারিত বলা যাক আপনি যদি একটি স্পেসিফিক কি-ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করেন তখন আপনার সেটা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বহন করে। সার্চ ইঞ্জিনের ভাষায় আপনি যেসব কি-ওয়ার্ড কাজ করবেন সেটাই হচ্ছে কি ।
এবার আরেকটু উদাহরণ দিয়ে বোঝা যাক:
বাংলালিংক টিপস হচ্ছে আপনার সার্চ কি-ওয়ার্ড। এখন যেহেতু আপনি গুগলে বাংলালিংক টিপস নিয়ে সার্চ করেছেন তখন গুগল তার প্রদত্ত রেজাল্ট আপনার সামনে দেখাবে। এখন যে রেজাল্ট এসেছে রেজাল্ট এর সবগুলো সাইট তারা বাংলালিংক টিপস নিয়ে সাইটটি বানিয়েছে এবং আর্টিকেলগুলো লিখেছে। যার কারণে আপনার সামনে এই সাইট গুলো দেখাচ্ছে। তাহলে একটু অনুধাবন করুন যে কি-ওয়ার্ড এর গুরুত্ব কতটুক বেশি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর জন্য।
কিওয়ার্ড রিসার্চ মানে কি:
আপনি নিশ্চয় ইন্টারনেটে এখন এই আর্টিকেলটি পড়ছেন তাহলে আপনি কিওয়ার্ড রিসার্চ এর কথা শুনেছেন । ধরুন আমি একজন ব্লগার ব্লগে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে অনেক ধরনের আর্টিকেল লিখেছি যেহেতু আমার, যারা ভিজিটর তারা কি জানতে চায় সে বিষয়ে আমি অন্যান্য সাইটে কেমন ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করেছে। আমার বাসায় গিয়ে তোকে নিয়ে তারা কেমন ধরনের আর্টিকেলগুলো লেগেছে সেই বিষয় নিয়ে রিসার্চ করার নামই হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ । তো এখানে বুঝতেই পারছেন কিওয়ার্ড রিসার্চ কি ?
সোজাসাপ্টা কথা হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ হল আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখতে চান সে বিষয়ে আগে থেকেই রিসার্চ করবেন, সে বিষয়ে অনেক ধরনের এনালাইসিস করবেন সেটাই হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ । আপনি যে বিষয়ে লিখেছেন সেই বিষয়ে মানুষের কেমন ধরনের দেখার চাহিদা রয়েছে সার্চ ভলিউম কেমন সে বিষয়ে জানতে চাওয়া টাই কে আর কি বলে কিওয়ার্ড রিসার্চ ।
*যেভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হয় ***
উপরে আমরা জানতে পেরেছি কেউ যখন কোন কিছু লিখে সার্চ করে তখন সেটাকে বলা হয় কিওয়ার্ড । যে কি-ওয়ার্ড নিয়ে মানুষ সার্চ করে সেই কী-ওয়ার্ডটি যদি সার্চ ইঞ্জিন এর সাথে জড়িত থাকে তাহলে সার্চ ইঞ্জিন সেই কীবোর্ড লেখা আর্টিকেলগুলো যারা সার্চ করে তাদের সামনে উপস্থাপন করে । যদি কোনভাবে ভুল হয়ে যায় তাহলে কিন্তু কখনোই গুগোল এ গুলোকে কারো সামনে সাজেস্ট করবেই না বরং আরো সাইটের রেঙ্ক হারাবে ।
যেমন একটি উদাহরণ দিয়ে আপনাদেরকে বোঝাই ধরেন আপনার একটি ছেলেদের রূপচর্চা নিয়ে আপনি আর্টিকেল লিখেন আপনার ব্লগে আর্টিকেল মধ্যে শুধু আপনি মেয়েদের টিপস দেন আর এই ভাবেই এসইও করে থাকেন তাহলে কখনোই ভিজিটর পাবেন না ,
আপনার সাইটের জন্য কেননা গুগল তা কখনোই তা মানুষের কাছে শো করবে না কারণ আপনার কিওয়ার্ড একটি হচ্ছে ভিন্ন রকমের ।
ঠিক যেমন আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কোন আর্টিকেল টাইটেল যদি ভুল লেখা তাহলে যেমন কারো কাছে শো করবে না ঠিক তেমনি আপনার কি-ওয়ার্ড ব্যাপারটা হচ্ছে এমন , আপনি যদি সঠিক কিওয়ার্ড ব্যবহার না করেন তবে কারো কাছে আপনার সাইটটি পৌঁছাবে না । আপনার সকল ধরনের hard-working সবকিছুই ব্যথা থাকবে । কোন সফল হতে পারবেন না ।
যেভাবে ব্যবহার করতে হবে কী-ওয়ার্ড****
উপরে এতক্ষণ কী ওয়ার্ড কী, কী ওয়ার্ড কেন রিসার্চ করতে হয়ড় কী -ওয়ার্ড আর রিসার্চ কি সব কিছুই জানা হয়ে গেছে । এবার আমরা জানবো কিভাবে আপনি কি ওয়ার্ড ব্যবহার করবেন ।
কিওয়ার্ড এটা আপনি দুইভাবে ব্যবহার করতে পারেন .....
প্রথমত আপনি কি ওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন আপনার সাইটের আর্টিকেল গুলোর মাধ্যমে ।
দ্বিতীয়তঃ আপনি আপনার সাইটের মেটা ট্যাগ এর মাধ্যমেও কী ওয়ার্ড গুলো ব্যবহার করতে পারবেন ।
১. আর্টিকেল লিখে:
আর্টিকেল লিখে কিওয়ার্ড ব্যবহার করাটা খুবই সহজ একটি মাধ্যম । আর্টিকেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনার কি ওয়ার্ড ব্যবহার করার জন্য। অনেকে মনে করে থাকেন যে meta tag অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আবার অনেকে মনে করেন মেটা কি ওয়ার্ড ব্যবহার না করলে আপনার সাইটে ইন্ডেক্স কখন হবে না ।
এটা আসলে একটি ভুল ধারণা। কেননা মেটা ট্যাগ আপনার সাইটের ইনডেক্সিং ক্রাউলিং করে যার ফলে আপনার সাইটটা খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনের প্রথমে চলে আসে।
এটা আবার অনেক ভুল ভাববেন যে মেটা ট্যাগ এর মাধ্যমে সাইটের ইনডেক্সিং হয় না এটা আসলে একটা ভুল ধারণা । এর জন্য অবশ্যই আপনার সাইট গুগল ক্রাউলিং করে ।
না এটা ঠিক থাকলে আপনার সাইট থেকে একটা সূচিপত্রের মত দেখতে পাওয়া যায় যাতে গুগল সহজে বুঝতে পারে ।
এই সাইটে একটি কন্টেন্ট আছে।
উদাহরণস্বরূপ আপনি যখন একটি বই পড়েন তখন তার প্রথমে কিন্তু সূচিপত্র দেখেন এবং দেখেই কিন্তু সেখানে পর্যন্ত আপনি পৌঁছে যেতে পারেন ।
ঠিক তেমনি গুগল আপনার মেটা কিওয়ার্ড সূচিপত্র দেখে যার মাধ্যমে খুব সহজেই সবার সামনে থাকে এবং সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় চলে আসে।
এতক্ষণ শুধু বকবকানি করলাম এবার চলুন না আসল কথায় চলে আসি ।
আপনার যদি একজন ব্লগার হন তাহলে আপনি যে আর্টিকেলগুলো লিখবেন সেখানে যে শব্দগুলো সেগুলো হচ্ছে আপনার কি ওয়ার্ড ।
প্রত্যেকটা আর্টিকেল লেখার পূর্বে অবশ্যই সে বিষয়টি সার্চ করে নিতে হবে তা না হলে কিন্তু আপনার হবে না ।
আর্টিকেল লেখার সময় বাছাইকৃত যে কিওয়ার্ডগুলো নিবেন সেগুলো নিয়েই খুব সুন্দর করে একটি আর্টিকেল লিখে ফেলবেন । এটাই হচ্ছে আপনার প্রথম কাজ আর্টিকেল লেখার সময় ।।
আপনি যে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখেছেন সেই বিষয়ের সাথে যে কী ওয়ার্ড বেশি মানাবে সে কী ওয়ার্ড টাই নিবেন ।
আপনি আপনার আর্টিকেল লেখার সময় প্রথম লেখার শুরুর ভাগে আপনার বাছাইকৃত কী-ওয়ার্ডটি 200 শব্দের মধ্যে লিখে ফেলুন । এটাই হচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কেননা এর মাধ্যমে গুগল সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে যে আপনার কনটেন্ট কিসের উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে।
একটি কিওয়ার্ড নিয়ে আর্টিকেল লিখলে কোন ফলাফল পাবেন আপনার বিভিন্নভাবে মডি ফাইড করে আর্টিকেল এর ব্যবহার করতে পারবেন ।
সারা পৃথিবীতে যতগুলো সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে সবগুলোই কিন্তু প্রথম আপনার কনটেন্ট এর মেইন কিওয়ার্ড ফোকাস করে থাকে । যে আপনার মেটা ট্যাগ এর থেকে থেকে অনেক বেশি গুন কার্যকর । তাই বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।
কেন আপনি কিওয়ার্ড বাছাই করবেন ??
আপনাদের মনে এখন নিশ্চয়ই প্রশ্ন জেগেছে কী ওয়ার্ড পেলাম কিন্তু এটা আবার বাছাই কেন করতে হবে । আমরা যখন বাজারে যাই তখন দেখি সব থেকে ভালো যে কোন পণ্য বাছাই করে কিনি । ঠিক যেমন আপনি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যদি করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভালো ফল পেতে হলে অবশ্যই ভালো কী ওয়ার্ড বাছাই করতে হবে ।
তাই সব সময় ভালো কিওয়ার্ড বাছাই করার গুরুত্ব অপরিসীম রয়েছে।
আমরা সার্চ ইঞ্জিন থাকার জন্য অনেক পরিশ্রম করে থাকি । বিভিন্ন সময় হাই কম্পিটিশন কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করে থাকি । যেমন : কোন কিছু ডাউনলোড করা, মুভি ডাউনলোড করা, এগুলো টাইপের কিওয়ার্ডগুলো খুব অনেক কম্পিটিশন হয় হয় যার ফলে এগুলোতে কাজ করা খুব কঠিন হয়ে । তবে যদি আপনি একবার এই কি-ওয়ার্ডের প্রথম পেজে চলে আসতে পারেন তবে আপনি তো পুরাই কেল্লাফতে হয়ে যাবেন। লক্ষ লক্ষ ট্রাফিক আপনার সাইটে ঢুকে যাবে খুব সহজেই। ভিজিটর নিয়ে কোন চিন্তা আপনার করতে হবে না।
এই কী-ওয়ার্ড গুলোতে যেমন ট্রাফিক বেশি ঠিক তেমনি এগুলোতে হাই লেভেলের কম্পিটিশন অনেক বেশি। এখানে রেংক করাটা মনে করেন অসম্ভব প্রায় কারণ এখানে হাই কোয়ালিটি ব্যাকলিংক থাকে এখানে থাকা হাই কোয়ালিটি অথরিটি ওয়েবসাইটের যার কারণে কম্পিটিশনের এসে রাঙ্ক করাটা খুবই কঠিন। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সবথেকে ভাগা ভাগা ওয়েব মাস্টাররা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এসব কিওয়ার্ড রাঙ্ক করানোর চেষ্টা করে ।
থাকে কিন্তু তারপরও তারা সফল হয় না ঠিকভাবে । কীভাবেই বা হবে কারণ এটা কিন্তু অনেক কঠিন এটা খুব কঠিন বলা যায় আপনি যদি মার্কেটে থাকতে চান অবশ্যই সহজ দিয়ে শুরু করতে হবে। যেহেতু আমরা সহজ কী ওয়ার্ড দিয়ে শুরু করছি । আমরা সহজে কিওয়ার্ড নির্বাচন করব । আমাদের মাথায় সব সময় এই কথাটা রাখতে হবে যে যে কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করলে সফল হওয়া যায় কি আমরা নির্বাচন করব। ভালো ভালো কিওয়ার্ড বাছাই করার জন্য আপনাকে এই কিওয়ার্ড বাছাই করুন যে প্রক্রিয়া সেটাই হচ্ছে এটা বুঝতে পেরেছেন ?
আপনি যদি ভাল মানের একটি কিওয়ার্ড যাচাই বাছাই করেন তাহলে কিন্তু খুব সহজেই আপনি ভালো পরিমাণ ট্রাফিক আপনার সাইটে আনতে পারবেন। এবার চলুন আমরা দেখবো কিভাবে একটি ভালো কিওয়ার্ড বাছাই করা যায় ।
কি-ওয়ার্ড যাচাই-বাছাই করার সময় আমাদেরকে অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হবে: এগুলোর ওপর ভিত্তি করে আপনাকে আপনার সাইটের জন্য কি-ওয়ার্ড গুলো বেছে নিতে হবে । নিচে আমি এই বিষয়ে কিছু আলোকপাত করব:-)
১. কিওয়ার্ড সার্চ ভলিউম :::::::::::::::
সার্চ ভলিউম জানা আপনার জন্য খুবই দরকারি
কেননা কতগুলো ট্রাফিক কোন নির্দিষ্ট কী ওয়ার্ড যখন সার্চ দেয় সেটাই হলো সেই keyword এর সার্চ ভলিউম । একটি ছোটমোটো উদাহরণ আপনাদেরকে এই ব্যাপারটা বোঝাই । ধরেন এক লক্ষ লোক "চাকরির আবেদন" এই কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ দেয় । 1 লক্ষ লোক যে সার্চ দেয় তাহলে কী ওয়ার্ড হচ্ছে সেই সার্চ এর "সার্চ ভলিউম" সার্চ ভলিউম এই কথাটার অর্থ অনেক বিশাল" সার্চ ভলিউম এটি একটি শব্দের হতে পারে আবার অনেকগুলো শব্দেরও এটি হয়ে থাকে । সার্চ ভলিউম দেখার জন্য আপনাকে
Keyword planner , Google keyword tool , word tracker etc etc .
যথোপযুক্ত কি ওয়ার্ড নির্বাচন করলে আপনি কি পরিমান ট্রাফিক পাবেন এটাই হচ্ছে প্রথম শর্ত।
যেখানে দেখবেন হাই সার্চ ভলিউম সেখানে ট্রাফিক অনেক বেশি । কিওয়ার্ড নির্বাচনের সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম যেন ভাল হয় তাহলে আপনি ভালো মানের ট্রাফিক পাবেন ।
এবার চলুন কথা হবে সার্চ ভলিউম রেজাল্ট নিয়ে:::
সার্চ ভলিউম এর রেজাল্ট সাধারণত তিন রকমের হয়ে থাকে
১.Exact
২.Broad
৩.Phrase
আপনি যদি গুগল কিওয়ার্ড রিসার্চ টুলস এ যান সেখানে দেখতে পারবেন , লেফট সাইড বারে ছোট্ট একটি বক্স পাবেন সেখানে তিনটে সাইট বক্স দেখতে পারবেন ।
এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কিওয়ার্ড রিসার্চ ভলিউম বের করা সম্ভব। এখন নিচের তা উল্লেখ করা হলো।
১.Exact..
আপনার কিওয়ার্ড কেমন ধরনের সার্চ ভলিউম সেটা দেখার জন্য ।
২.Broad
আপনার সমস্ত রকমের কি ওয়ার্ড দেখার জন্য
৩.Phrase এর সাথে যেগুলো কিওয়ার্ডগুলো মিলে যায় সেগুলো দেখার জন্য।
কী ওয়ার্ড গুলোর পাশে টিক চিহ্ন মেরে দেখুন
একদম ওপরে রেজাল্ট চলে আসবে ।
Broad এবংPhrase এর যদি আপনি চেকবক্স উঠিয়ে যদি দেন তাহলে অন্যরকম রেজাল্ট দেখাবে। এরকম যদি আপনি করতে পারেন তাহলে এর মাধ্যমে সার্চ ভলিউম জানতে পারবেন।
২. মেটা ট্যাগ
আমরা যখন একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করি তখন আমরা বিভিন্ন ধরনের মেটা ট্যাগ ব্যবহার করি ঠিক এমন। এর মধ্যে
< meta name=”keywords” content=”some keyword,another keyword” />
উপরে যে ট্যাগ টি দেখতে পাচ্ছেন এইটা ট্যাগ টি
কিওয়ার্ড মেটা ট্যাগ নামে পরিচিত । উপরে যে কোডটি ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে একটি মেটা ট্যাগ রয়েছে এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের মেটা কি ওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারবেন ।
কিভাবে ব্যবহার করবেন দেখে নিন :::
প্রথমে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে চলে যেতে হবে , এবং সাইটের এইচটিএমএল পেজে চলে যেতে হবে এবং সেখানে ট্যাগ এর মধ্যে দিয়ে আপনার যে বাছাইকৃত কিওয়ার্ড রয়েছে সেটি সেখানে বসিয়ে দিলেই ব্যাস ।
ইয়েস হয়ে গেছে আপনার সাইটে মেটা ট্যাগ কিওয়ার্ড বসানো । এছাড়া আপনি চাইলে আরো মেটা কিওয়ার্ড বসাতে পারেন আপনার সাইটে ।
তবে সব কাজ করার আগেই কিছু দিক নির্দেশনা যেমন রয়েছে সেগুলো মানার ও প্রবণতা থাকতে হবে আপনার কাছে। তাই কিছু নিয়ম আপনাকে অবশ্যই মানতে হবে । তাহলে চলুন আমরা চলে যাই সেই নিয়ম গুলো তে :::
আপনি সাইটের যে কী-ওয়ার্ডটির উপর নির্ভর করে বানাবেন সেই কী-ওয়ার্ডটি যেন আপনার মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগে ৩ বারের বেশি রাখা না হয় । যদি রাখা হয় তাহলে আপনার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে ।
আপনি সব সময় চেষ্টা করবেন আপনার সাইটে মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগ সর্বোচ্চ ১ বার বসাতে তবে আপনি সেফ থাকতে পারবেন । সাইট র্যাঙ্কিংয়ের কোন চিন্তাই আপনাকে করতে হবে না ।
এবার একটু গভীরে যাওয়া যাক
ধরুন আপনি একটি মেটা কী-ওয়ার্ড ট্যাগে একটি কী-ওয়ার্ড বার বার না লিখলেন। তবে সেটা আপনার জন্য ভালো ফল আনবে না ।
যদি আপনি একই কথা গুলোকে অন্য ভাবে তা লেখার চেষ্টা করেন তাহলে আপনার জন্য সেটা ভালো ফল বয়ে আনবে,যেমন আরেকটু উদাহরণ দেই , প্রথমে যদি আপনি লিখে থাকেন Download pdf books , Pdf books download তা হলে সেটাকে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে download pdf books বা আরএকটু পরিবর্তন করে download pdf books online, pdf books download এরকম করে নিতে পারবেন একটু পরিবর্তন অবশ্যই আপনাকে রাখতে হবে । ফলাফল ভাল হয় বয়ে আনবে ।
ও আরেকটি কথা তো বলতে ভুলে গিয়েছি, আপনি যে কিওয়ার্ডগুলো দিবেন সেখানে বানানগুলো কখনো যদি ভুল হয় তাহলে আপনি শেষ , বানানগুলো একদম নির্ভুলভাবে দিবেন যাতে কখনোই কোনো সমস্যা না হয়।
আমার প্রতিটি কী-ওয়ার্ডের লেখার পর একটি করে কমা(,) ব্যবহার আপনাকে করতে হবে।
এবং এরপর একটা স্পেস দিয়ে পরবর্তী কী-ওয়ার্ড দিবেন যাতে করে কখনো কোন অসুবিধা না হয়।
আবার আপনার বাছাইকৃত কিওয়ার্ডগুলো নিম্নোক্ত জায়গায় বসাতে পারেন।
১.ডিস্ক্রিপশন- Meta Tag
২.টাইটেল– Meta Tag
৩. এ এল টি - Meta Tag
ইত্যাদি ইত্যাদি এগুলো ব্যবহার করতে পারেন আপনার কি ওয়ার্ড ।
(Keyword Competition & Competitor Analysis)
প্রথমে আপনার যে গল্প করব সেটা হচ্ছে
কিওয়ার্ড কম্পিটিটর :::::
কিওয়ার্ড কম্পিটিটর কি,,
যেমন ধরুন আপনি একটি কি ওয়ার্ড বাছাই করলেন কিন্তু সেটা সার্চ ইঞ্জিনে ভালো পর্যায় আসলো না । এইযে যে আপনি একটি কিবোর্ড সিলেকশন করলেন কিন্তু আপনাকে যে কোনভাবে বাধা প্রদান করা হয়েছে এই বাধাপ্রদান কে বলা হয় কি ওয়ার্ড কম্পিটিশন ।।।
আশা করি কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন।
সবকিছুর একটি নিয়ম রয়েছে ঠিক তেমনি কি ওয়ার্ড কম্পিটিটর এনালাইসিস করার জন্য আপনাকে নিয়ম মানতেই হবে । তবে নিয়মের কথা বাদ দিলাম , আপনি নিজেকে ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করবেন সেই কি ওয়ার্ড কেমন জনপ্রিয়তা , প্রথমে দেখার বিষয় ।
যত বেশি জনপ্রিয়তা হবে তত বেশি কঠিন হবে সার্চ ইঞ্জিনে চলে আসা । যারা সার্চ ইঞ্জিনের মার্কেট আর যারা অনেক বেশি চিন্তাভাবনা করে বের করেছে তাদের এই কী-ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করলে কতটুকু সময় তাদের লাগবে এবং কতটা কঠিন হবে তাদের সে কাজগুলো করার জন্য।
তাই মার্কেটাররা সহজে rank এ আসবার জন্য জন্য তুলনামূলক ভাবে less competitive keyword গুলো নির্বাচন করে থাকে যাতে করে খুব সহজেই তারা rank চলে আসতে পারে ।
এখন আপনারা আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন যে কিভাবে লেস কম্পিটিশন কিওয়ার্ড বের করতে হয়। আবার আরেকটি প্রশ্ন করতে পারেন জলেস কম্পিটিটিভ কি ওয়ার্ড এর সাথে কি কি বিষয় জড়িত সে বিষয় সম্পর্কে ।
এবার যদি আপনি বাংলাদেশের 10 জন যারা কিনা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন তাহলে তারা 10 রকম চিন্তাভাবনা করে 10 রকম আইডিয়া তারা দিবে ।
কিন্তু আপনি যদি এই কম্পিটিশন এনালাইজ করতে চান তাহলে আপনাকে কিছু বেসিক ধারণা ও আপনার মাথায় রাখতে হবে , যদি রাখতে পারেন তাহলে আপনি ভালো এনালাইজার ম্যান হয়ে যাবেন ।
আপনার যারা কম্পিটিটর আছে তাদের সাইটে এনালাইজ করলে আপনি মাথা একটু আইডিয়া এসে পড়বে যে কিভাবে কি করতে হবে।
নিচে এ বিষয়ে কিছু তথ্য আপনাদের কে দেওয়া হল::::::
অপটিমাইজ টাইটেল :: আপনার যে প্রতিযোগী রয়েছে তার ব্লগ বা ওয়েবসাইটে আপনার বাছাইকৃত যে কি ওয়ার্ড আছে সেটি কি টাইটেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ?
রিলেভেন্ট কনটেন্ট :: আপনি যে কি ওয়ার্ড বাছাই করেছেন সেটি কনটেন্ট এর মধ্যে আছে কিনা ?
টার্গেটের কনটেন্ট :: আপনার যে কম্পিটিটর আছে তার ওয়েবসাইটে আপনার কিওয়ার্ড নিয়ে কি ? সেটি দেখুন ।
সাইট লিংক::: আপনার কম্পিটিটর রুট ডোমেইন এর মধ্যে কতগুলো লিংক আছে ?
পেজ লিংকঃ আপনার যে কম্পিটিটর আছে তাদের ওয়েবসাইটে কতগুলো পেইজ লিংক আছে?
অথরিটি লিংক ::: আপনার যে কম্পিটিটর আছে তার সাইটটিতে কি টপ লেভেল ডোমেইন এর বা বিভিন্ন সাবমিশন ডিরেক্টরি সাইটের কি আছে?
গুগল পেজ রেঙ্ক :: আপনার কম্পিউটারের গুগলের পেজ রেঙ্ক কত সেটা যাচাই করে নিন ।
ওয়েবসাইট এর বয়স :: আপনার কম্পিটিটর সাইটের বয়স কেমন সেটা দেখতে হবে ?
আপনার কম্পিটিটর গুগল ইনডেক্সিং কতগুলো পেয়েছেন হয়েছে সেটাও দেখতে হবে।
এছাড়া আপনি আরও দেখতে পারেন যে সাইটের আপনার কম্পিটিটর সে সাইটের কতগুলা ব্যাকলিংক আছে , তারা কোথায় থেকে ব্যাক লিঙ্ক গুলো পেয়েছে সেটাও আপনি দেখতে পারেন। ব্যাকলিংক দেখার জন্য অনেক ধরনের ওয়েবসাইট আছে সেখান থেকে ব্যাক লিঙ্ক গুলো দেখে নিতে পারেন ।
আপনি এখানে আরো অনেক কিছু নির্ধারণ করে দেখে নিতে পারেন যেমন যে সাইট এর মেইন ডোমেইন ইনডেক্সিং হয়েছে কিনা ?
এবার জানবো
আপনার জন্য কি ধরনের কী ওয়ার্ড বাছাই করা জরুরি।
এই বিষয়টা বোঝার জন্য আমি আপনাদেরকে একটি গল্প শোনাব চলুন তাহলে গল্পের দিকে চলে যাওয়া যাক । মনে করেন আমরা চার বন্ধু মিলে একটি দৌড় প্রতিযোগিতায় নামলাম , এখানে আপনি বলতে পারেন যে অমুক ব্যক্তি প্রথম হতে পারে দ্বিতীয় হতে পারে এর কারণ হচ্ছে আমরা চারজন শুধুমাত্র এই চারজন পাঁচজন একটি গ্রুপ মিলে বন্ধুরা মিলে দৌড় প্রতিযোগিতা দিয়েছি । এবার যদি আমরা একটু উল্টো ভাবে চিন্তা ভাবনা করি যদি 500 জন মিলে একটি দৌড় প্রতিযোগিতায় দেয় তাহলে এখানে কিন্তু কেউই নিশ্চিত নয় যে কে প্রথম বাঁ কে দ্বিতীয় হবে । এটাই নিয়ম 1000 জন মিলে একটি দৌড় প্রতিযোগিতায় দিলে যেমন নিশ্চিত না যে কে প্রথম বা দ্বিতীয় হবে।
ঠিক তেমনি চারজন মিলে দৌড় দিলে হয়তো আমাদের মনে ধারণা থাকতে পারে যে ও হতে পারে এক বা দুই ।
আমরা যখন গুগলের কোন কিছু লিখে সার্চ করি তখন কিন্তু আমরা প্রথম পেজে প্রথম নাম্বারে যে রেজাল্টে আসে সেটা কিন্তু আমরা ভিজিট করি।
এখন মোদ্দা কথা হচ্ছে আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখতে চাচ্ছেন , সেই কিওয়ার্ড নিয়ে কম আর্টিকেল লেখা হয়েছে এমন কি ওয়ার্ড বাছাই করুন । এবং সে অনুযায়ী কাজ করুন।
শেষ কথা বলে শেষ করছি ....
এতক্ষণ যা বকবকানি করলাম সেটা বেশি কার্যকর হবে যদি এগুলো কি আপনি প্র্যাকটিক্যালের নিয়ে কাজ করেন দেখার মধ্যে কোন কিছু হাসিল হয় না তাই প্রাক্টিক্যাল কাজের মাধ্যমেই আপনাকে জটিল বিষয় গুলো বুঝতে হবে ।
কাজে গেলে অনেক তথ্য হয়তো বা মিসিং পড়ে যেতে পারে তবে আমাকে ম্যাসেজ করে বলতে পারেনা আমি সে বিষয়ে আপনাদেরকে ক্লিয়ার করে দিব আজ এ পর্যন্ত আগামী কোন আর্টিকেলে দেখা হবে সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ ।

