কেন আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতেই হবে

 কেন আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতেই হবে 

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

দেশ ও দেশের বাইরে থেকে যেখান থেকে দেখছেন আশা করি সবাই ভাল আছেন।

প্রত্যেকটা মানুষ চায় যে তার জীবনধারা উন্নত হোক। 

এবং প্রত্যেকটা মানুষ কিন্তু চায় যে তার বিজনেস বড় হোক।

 প্রতিষ্ঠিত হোক। এটা প্রত্যেকটা মানুষের চাওয়া পাওয়ার বিষয় বটে।
আমরা ধন্যবাদ জানাই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কে ।

 কারণ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে কিন্তু আমরা আমাদের বিজনেস বা ব্লগিং সবই আমরা প্রতিষ্টিত করতে পারি।

এখন আমরা যে অনলাইন ভার্চুয়াল জগতে আছি ,

এখন কার সময়ে  সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করা এতটা সহজ নয়।

আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ঠিকভাবে সুন্দরভাবে না করেন তাহলে এটা আপনার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আপনি কিছুই করতে পারবেন না । 

আপনি যদি সুন্দর উপায় নতুন স্ট্র্যাটেজিতে নতুন কৌশল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর জন্য কাজ করেন তাহলে অবশ্যই আপনি লাভজনক অবস্থানে যেতে পারবেন। 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হচ্ছে এমন এক রাস্তা যে রাস্তায় আপনি সঠিকভাবে কাজ করলে  এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারবেন।

 যেমন ধরুন আপনি আপনার ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করলেন । আপনি যদি লম্বা সময় এই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভালোভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হবে এতে কি হবে হাজার হাজার মানুষ ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসবে। আপনি যে ধরনের ব্যবসা বা করেন না কেন এটা কোন ব্যাপার না কিন্তু আপনি হিউজ পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন এ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার মাধ্যমে।




বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটের জগতে রাজ করছে বিভিন্ন ধরনের সার্চ ইঞ্জিন তবে এর মধ্যে সবথেকে সেরা হচ্ছে গুগল । 

গুগল তারা একটি এমন একটি ব্র্যান্ড তৈরি করে ফেলেছে সারা পৃথিবীতে তাদের মত সার্চ ইঞ্জিন হয়তোবা কখনো আসবে না ।গুগল এর সবথেকে পপুলার
SERP সিস্টেমটি খুবই আকর্ষণীয় টার্গেট অডিয়েন্স এর জন্য ।

এখানে আমি কিছু কারণ বলবো কেন আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতেই হবে।

তাহলে চলুন শুরু করি।


01. সার্চ ইঞ্জিন আপনাকে হেল্প করবে আপনার বিজনেস কে উপরে উঠাতে কম্পিটিশনের ভিড়ে।

আপনার যদি কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে কাজ করে থাকেন , আর সেখানে যদি আপনি অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও করে থাকেন । তবে খুব সহজেই আপনি গুগলের প্রথম পেজে অবস্থান তৈরি করে নিতে পারবেন।
অনেকগুলো কারণ আছে আপনার আর্টিকেল গুলো গুগলের প্রথম পেজে না আসার । কিছু উদাহরণ দেওয়া যাক ---যেমন ধরুন আপনার ওয়েব সাইটের ব্যাকলিংক, এছাড়া সাইডের স্পিড , মানসম্মত কন্টেন্ট এছাড়াও রয়েছে অডিয়েন্স এঙ্গেজমেন্ট । এ বিষয়গুলো যদি আপনি খুব যত্নসহকারে করে থাকেন এটা তড়িত্গতিতে আপনার ব্লগ বা বিজনেস ব্র্যান্ড ভ্যালু তে পরিণত হওয়া কোন ব্যাপারই না।

গুগল মামা মনে করবে যে আপনি একজন ডেডিকেটেড বিজনেসম্যান তাদের সার্চ আপনার মুল্য বাড়বে।‌ তাদের সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংকিং পেজে আপনার মর্যাদা বেড়ে যাবে।

অনলাইনে ইন্ডাস্ট্রিতে এরকম হাজার হাজার বিজনেস ম্যাগনেট আছে যারা কিনা গুগলের সার্চ পেইজে খুব মূল্যবান একজন। 

তবে এখনকার দিনে একটু কঠিনই আপনার অবস্থান ধরে রাখার জন্য সার্চ ইঞ্জিন পেজে। কিন্তু আপনি যদি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করে থাকেন তাহলে খুবই সহজ হবে এবং খুব সহজে আপনি বড় একটা অবস্থানে যেতে পারবেন।

02.পিপিসি স্কোর বাড়াতে পারবেন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে ******

এখন আমরা যে পর্যায়ে চলে এসেছি এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাদের যারা pay per click এর মাধ্যমে ইনকাম করতে চান বা করেন। যখন আপনি কোন কি ওয়ার্ড এর মাধ্যমে ভিন্ন কোন পেজে আপনার প্রোডাক্ট বা  সার্ভিস ব্যবহার করেন তখন ।  এর মাধ্যমে আপনার PPC উন্নতি লাভ করে। এই স্কোর আপনাকে সাহায্য করে বিভিন্ন অ্যাডভারটাইজার বা মার্কেটারদের
তাদের প্রোডাক্ট আপনার সাইটে আপনার বিজনেস ক্যাটেগরি তে আনার জন্য।

এটা এমন একটা মাধ্যম যার মাধ্যমে আপনি প্রতিটি অডিয়েন্সের জন্য এবং প্রতিটি ক্লিকের জন্য আপনি টাকা পাবেন। যাইহোক আপনি যদি সঠিক পন্থায় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করেন তাহলে অবশ্যই আপনার পেইড ক্যাম্পেইন করা লাগবে না এবং অনেক টাকা আপনি বাঁচিয়ে তুলতে পারবেন। অনেক টাকা আপনার বেঁচে যাব যদি আপনি pay-per-click করে থাকেন। আশা করি বুঝতে পেরেছেন না বুঝলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন এই অপশনটা।






03. মার্কেটিং স্ট্রাটেজি জন্য সার্চ ইঞ্জিন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা *******

যখন আপনি সার্চ ইঞ্জিন করতে চাইবেন তখন আপনি নিজে নিজেই লক্ষ্য করবেন যে আপনি অন্যান্য মার্কেটের থেকে একটু বেশি তাড়াতাড়ি সফলতা দেখতে পাবেন । একটা এক্সাম্পল আপনি যদি একজন সোশ্যাল মিডিয়া এক্সপার্ট এনে আপনার প্রোডাক্ট বিভিন্ন সাইটে যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রা্‌ টুইটারে, প্রমোট  করে থাকেন তাহলে সবাই ভাববে আপনি একজন ব্রিলিয়ান্ট বিজনেস ম্যাগনেট , তবে যদি আপনি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আপনি রেঙ্ক করেন তাহলে সবাই ভাববে । সব অডিয়েন্স এইটা চিন্তা করবে যে আপনি তাদের মনোযোগ ধরে রেখেছেন যে তারা কি চায় সেটাও আপনি জানেন এবং বুঝেন। এর মাধ্যমে কি হবে যে আপনি খুব সহজেই সেইসব অডিয়েন্সের অনেক কাছাকাছি চলে যাবেন এবং আপনার বিজনেস মারাত্মক লেভেলের অস্থির হয়ে যাবে ,যা আপনি কখনোই ভাবতেও পারবেন না। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শুধুমাত্র ট্রাফিক পাওয়ার শুধু মাধ্যম না।

04.অফলাইন কনভারসেশন ইমপ্রুভমেন্ট*****




বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে আমরা অফলাইনের কেনাকাটায় সবথেকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি তবে 50 পার্সেন্ট মোবাইল ব্যবহারকারীর তথ্য থেকে জানা গেছে যে তারা আশেপাশের লোকাল দোকানগুলো থেকে সার্ভিস নেওয়ার চেষ্টা করেন
তাহলে অর্ধেক কিন্তু কমে গেছে এখানে । আচ্ছা যদি আমি সার্চ করি যে ,,, আমার আশেপাশের সবথেকে ভালো খাবারের হোটেল,,,, এবং গুগল কিন্তু আমার আশেপাশের লোকেশন এর দোকানগুলোয় কিন্তু দেখাবে।
তাই আমাদের প্রয়োজন অফলাইন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করা যাতে খুব সহজে অনেক তাকে কিন্তু আপনারা ট্রাফিক পেয়ে যাবেন।




05.সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যম আপনার বিজনেস কে করুন ভরসাযোগ্য।


বাংলাদেশের জনগণ কিন্তু বাংলাদেশে না সরি পৃথিবীর বেশিরভাগ লোকে বিং সার্চ না করে গুগলের সার্চ করে । কারণ তারা গুগলকে অনেক ভরসাযোগ্য মনে করে। আপনার যদি কোন ভাবে সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার সাইটকে যদি সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিংয়ে আনতে পারেন তবে খুব সহজে আপনি বিভিন্ন কাস্টমারদের ভরসার যোগ্য বলে মনে করবেন। কারণ তারা গুগলকে যেমন বিশ্বাস করে ঠিক তেমনি আপনাকে অবিশ্বাস করবে এবং অনেক ভরসা যোগ্য বলে মনে করব।

এই ছিল কেন আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে হবে এ বিষয় নিয়ে কিছু কথাবার্তা আশা করি বুঝতে পেরেছেন। কোন ব্যাপার নয় যদি আপনার একটি ওয়েবসাইট ছোট থাকে কিন্তু আপনি যদি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক রাখেন তাহলে অবশ্যই গুগল সার্চ রেংকিং ফ্যাক্টর আপনাকে মানতে হবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কি বোঝেন নি ।

তাহলে আজকে এই পর্যন্তই আগামী পর্বের জন্য তৈরি থাকুন সুস্থ থাকুন সেই পর্যন্ত আল্লাহ হাফেজ।